বলহীনার সাথে অবিস্মরনীয় স্বর্গ


মনে পড়ে সেদিন কতোটা পথ হেঁটেছিলেম একই অঙ্গে

দুর হতে দেখেছিলেম এক সহস্র বছর আমরা হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে

গতিহীন সমুদ্রে ভেসে আছে নাম না জানা বদ্ধ কঙ্কাল

সেও দেখেছিলেম দুজনে বসে, একাকী নিস্ফল

অন্ধকারের তীব্র কটাক্ষ সহ্য করেও একরাশ হাসিমুখ নিয়ে বলেছিলেম, পাশে আছি

জীর্ণ শীর্ণ দুখানি হাত আমার হাতের মুঠোয় রেখে তুমি দিয়েছিলে আশ্বাস

হটাৎ প্রচন্ড ঝড়ে সে বাস্তব হারালো কোথায়?,

কোথায় হারালো সে দিনলিপি, আপামোর ভালোবাসা

ধৈর্য সঙ্গী করে দাঁড়িয়েছিলেম তোমার অপেক্ষায়

দুর থেকে দূরে যেখানে স্নিগ্ধ পলাশ ফোটে বটের ছায়ায়

সেও দেখেছিলেম দুজনে মিলে

মুখের পানে তাকিয়ে সেদিন দেখা মিলল আমার সর্বনাশের

ফাগুন বেলায় তোমার চাহনি ছিল রুদ্ধশ্বাস কোনো বলহীনা

চোখের সম্মুখে এসে দাঁড়িয়েছিলে, তবুও ছিল আপেক্ষিক দূরত্ব

সে দুরত্ব মজিয়ে দুহাত দিয়ে স্নেহের কাঙাল এক ছেলে ফিরে এলো খুশির সাগরে

সম্মুখসমরে হাজার প্রজাপতি ডানা মেলে উড়ছে,

কি নিদারুণ ব্যস্ততা ঘেরা রাজমহল প্রাসাদের মুখে চললে

ব্যক্তিগত প্রেম সেদিন এক নিঃশ্বাসে বাঁচছে

সেদিনের সেই হাজারো কর্মব্যস্ততার ফাঁকে একটুকরো সময় করে দেওয়া মহামানব

যাঁর উপকার ভোলার নয়, আমি ঋণী

সেই দিন ভোলার নয়, সেই রাত এখনও আমার কাছে একটা স্বর্গের দুয়ার।।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ