মানুষ নশ্বর, আর সময় অবিনশ্বর।তাই যদি হয়, সমকাল বলে কিছু কি হয়! আমি চলে গেলেও সময় বহতা থাকবে।তার কোন পাস্ট, প্রেজেন্ট, ফিউচার নেই।আমাদের বেঁচে থাকার নিরিখে আমরা সময়কে বর্তমান বলি, অতীত বলি বা ভবিষ্যৎ বলি।ফলে সমকাল বলতে আমার অতীতও সমকাল।আমার এই লেখার মুহূর্ত সাম্প্রতিক কিন্তু তা – তো সমকালকে ধরতে চাইছে।ফলে সে কখনও যাবে পিছনে,কখনও বা সামনে।কখনও বা সে স্থবির থাকবে।আসলে এই জীবনে সময়ের তুলনায় মানুষ অনেক মন্থর। তার গতি নির্ধারিত হয়ে আছে।স্পিডোমিটার তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
তবুও এই লেখায় দুটি চরিত্র রয়েছে একজন আমি আরেকজন সমকাল।আসলে মানুষের জীবন দেশ, রাজ্যের ইতিহাসকে অবলম্বন করে ব্যাপ্ত হয়।আর যে মানুষের চলন বেশী তার কাছে দেশের বাইরে ভিন্ন দেশ,ভিন্ন মহাদেশও হাজির হয়।ভূগোল তাকে নতুন নতুন জীবন দেখতে শেখায়,যদিও সময়ের খেলা তার জন্য শেষ হলে ব্যক্তির ইতিহাসের মহাফেজখানায় সম্পদ জমা হয়।যদিও কালের মন্দিরায় সেও নিছক পুতুল খেলা।
যাই হোক,আমির গপ্পে আসি।ব্ল্যাক আউট।বাবার কোলে এক শিশু। জনপথের নাম সূর্য সেন স্ট্রিট।
সালটা ১৯৬৫।বোধহয় পাকিস্তানের সঙ্গে বাইশ দিনের যুদ্ধে ব্ল্যাক আউট।এপ্রিল থেকে যুদ্ধ শুরু হয়ে জুনের ১৫ তে থেমেছিল।এক ২-৩ বছরের শিশুর সমকাল।আমি তবে সময়ের সঙ্গে খেলতে খেলতে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘেঁটে দেখতে পেলাম,কচ্ছের রানের নব্বই শতাংশ ভারতবর্ষে থেকে গেল।
0 মন্তব্যসমূহ