ভেজা পাণ্ডুলিপি
মধ্যরাত ঘুরে ঘুরে নামে
বৃষ্টিকেতনের মুখ উড়ে যায় দূরে
সুখপাখির বৃথা আস্ফালন
ডানা ঝাপটায় সঙ্গোপনে
ভেজা পাণ্ডুলিপি সব
কান্নার ভাসমান অক্ষরে ডুবে যায়
কোনও সৈনিকের আর্তনাদ
কুড়িয়ে নেয় হুহু রাতের বাতাস
এসময় পোড়া জ্বর নির্ঘুম মৃত্যুর মতো
দুলতে থাকে
পাথর হতে থাকা ভবিষ্যতের তীব্র স্বপ্নগুলি
আর ডাক শুনতে পায় না কারও
খণ্ড খণ্ড ছায়া হয়ে পড়ে থাকে সমূহ উচ্ছ্বাস
সভ্যতা বিষাদসিন্ধু
বিলীয়মান কাঁকড়ার মতো মানুষগুলি
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে এসেছে
যুগের রেললাইনের ধার ঘেঁষে
পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে
এসময় যে কেউ সত্যবাদী
মিথ্যুক হয়ে যেতে পারে
এসময় যে কোনও আলো
অন্ধকার হয়ে যেতে পারে
বৃষ্টিরা আগুনের মতো
দাউদাউ ঝরে পড়ে
এসময় নিজের মুখ কাকবর্ণ
কথাবার্তা অসহ্য প্রলাপ
ঘোর অন্ধকার বাঁশি বাজে
মহাভারতের কোন্ পর্বে
এসব বিষাদ ছড়ানো থাকে ?
সভ্যতা বিষাদসিন্ধু
মৎস্যমুখ নারীরা সাঁতার কাটে
অবিরল রতিসুখ চায়
মানুষেরা সমুদ্রকাঁকড়া হয়ে
বস্ত্রহরণ করে অমানবিক কালের সূচনায়
তোমার আলোয়
তুমি ফুটে ওঠো, নক্ষত্র হয়ে তুমি ফুটে ওঠো
চারিদিকে অন্ধকারের বিস্তার ঘটে চলেছে
আর সব দার্শনিকেরা মচ্ছব শেষে ঘুমিয়ে পড়েছে
এখন মধ্যরাতের সিনেমা
উত্তেজনাপ্রবণ হাওয়ায় বুনোহাঁস উড়ে চলেছে
দিগন্তে একা আমি ভ্রমণ শেষ করে তোমার আলোয় বিদ্ধ হব
খোলা শরীর বেজে উঠছে বাঁশির মতো
ছায়ার সংসার
মুক্ত হয়ে উঠছি
বন্দি থেকে থেকে
শরীর মরে গেলে
আমিও দুর্বিনীত উদ্ভিদ
ডালপালা মেলেছি
উঠোন জুড়ে ছায়ার সংসার
1 মন্তব্যসমূহ
চারটি কবিতায় অসাধারণ
উত্তরমুছুন